Premium wapka, wapkiz & blogger template free download Buy Now!

হ্যাকিং সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য! হ্যাকিং কি? হ্যাকার কত প্রকার? হ্যাকিং বৈধ নাকি অবৈধ?

ClickLur
হ্যাকিং সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য! হ্যাকিং কি? হ্যাকার কত প্রকার? হ্যাকিং বৈধ নাকি অবৈধ?

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। সবার মত আমি বলব না যে ক্লিক লুর এর সাথে থাকলে সবাই ভালো থাকে। তবে আমি চেস্টা করি সবাই কে ভালো রাখার। আর আজকে আমরা জানবো হ্যাকিং সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য! হ্যাকিং কি? হ্যাকার কত প্রকার? হ্যাকিং বৈধ নাকি অবৈধ?

আপনি সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে নিশ্চয়ই শুনেছেন, আর যদি না জানেন। তবে আমি Labib UR Rahman আপনাকে জানিয়ে দেব। সাইবার ক্রাইম এমন একটি অপরাধ, যার মধ্যে হ্যাকাররা কম্পিউটার ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে অন্য ব্যক্তির কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা এবং ব্যক্তিগত ফাইল চুরি করে এবং তাদের ব্ল্যাকমেল করে। আর এই ধারণের হ্যাকিং অবৈধ।

বন্ধুরা আমি জানি যে আপনাদের মনে রয়েছে হ্যাকিং নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন। আপনি হয়তো জানতে চান যে, "হ্যাকিং কি? হ্যাকার কত প্রকার? হ্যাকিং বৈধ না অবৈধ এবং যদি হ্যাকিং বৈধ হয় তবে কীভাবে হ্যাকার হওয়া যাবে?”।

তার আগে একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

উদাহরণঃ ধরুন, আপনি কোনো একটা কোম্পানির সিইও। একদিন সকালবেলা কম্পিউটার নিয়ে বসলেন কোম্পানির বর্তমান ব্যাংক ব্যালেন্স চেক করাতে। কেমন হবে যখন দেখলেন আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স শুন্য? এই ঘটনার পেছনের কারণ হলো হ্যাকিং।

হ্যাকিং ও হ্যাকার

বন্ধুরা হ্যাকিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়া যেকোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন। যারা হ্যাকিং করেন তারা হলেন হ্যাকার

হ্যাকিং এমন একটি শব্দ যা শুনতেই আমাদের মনে প্রথম কথাটি আসে, “যে ভাই কিছু তো গণ্ডগোল রয়েছে, মনে হয় অবৈধ কোন ব্যাপার ঘটছে।” কিন্তু আপনার মন্তব্যটি কি সম্পূর্ণ সত্য? হ্যাঁ সত্য, কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নয়। কেনোনা কিছু ভালো হ্যাকার রয়েছে আবার কিছু খারাপ হ্যাকার ও রয়েছে। এবং তাদের অ্যাকটিভিটি ভালো এবং মন্দ উভয় দিকেরই হয়ে থাকে।

ছোট বেলায় আপনি হয়তো জেনেছেন যে, কিছু ভালো ভূত (👻) থাকে আবার কিছু খারাপ ভূত (👻) থাকে 😛 হ্যাকারও ঠিক একই রকমের। এখন প্রশ্ন হলো কে ভালো আর কে মন্দ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে জানতে হবে হ্যাকারের প্রকারভেদ সম্পর্কে।

হ্যাকার প্রধানত তিন প্রকারের

  1. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারঃ যারা ভালো কাজের জন্য হ্যাকিং করে তাদের বলা হয়ে থাকে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারস।
  2. ব্ল্যাক হ্যাট হাকারঃ যারা মন্দ হ্যাকার তাদের বলা হয় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস।
  3. গ্রে হ্যাট হ্যাকারঃ যারা ভালো আর মন্দ মাঝামাঝি হয়ে থাকে তাদের বলা হয়ে থাকে গ্রে হ্যাট হ্যাকারস।

সাধারনভাবে হ্যাকার শব্দটি ব্ল্যাক হ্যাট বা কালো টুপি হ্যাকার অর্থেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় যারা মূলত ধ্বংসমূলক বা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকেন। এছাড়া আরো নৈতিক হ্যাকার রয়েছেন (যারা সাধারনভাবে হোয়াইট হ্যাট বা সাদা টুপি হ্যাকার নামে পরিচিত) এবং নৈতিকতা সম্পর্কে অপরিষ্কার হ্যাকার আছেন যাদের গ্রে হ্যাট বা ধুসর টুপি হ্যাকার বলে। এদের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য প্রায়শ ক্র্যাকার শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যা কম্পিউটার নিরাপত্তা হ্যাকার থেকে একাডেমিক বিষয়ের হ্যাকার থেকে আলাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয় অথবা অসাধু হ্যাকার (ব্ল্যাক হ্যাট বা কালো টুপি হ্যাকার) থেকে নৈতিক হ্যাকারের (হোয়াইট হ্যাট বা সাদা টুপি হ্যাকার) পার্থক্য বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।

তো চলুন এবার এই তিন টাইপ হ্যাকার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যাক। এবং আলোচনা করা যাক, যদি আপনি কোন হ্যাকার হতে চান তো কোন প্রকারের হ্যাকার হতে পারেন তা নিয়ে।

হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারস বা সাদা টুপি হ্যাকার

হ্যাকারসদের আরেকটি ক্যাটাগরি হলো হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারস। এই হ্যাকারসরা পরিপূর্ণ অনুমতি নিয়ে কোন সিস্টেমে প্রবেশ করে শুধু এটি জানার জন্য যে সেই সিস্টেমে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা বা সিস্টেমটির নিরাপত্তা লেভেল কতটা মজবুত। এই অবস্থায় এই হ্যাকারগন কে বলা হবে ইথিক্যাল হ্যাকারস। কেনোনা তারা পরিপূর্ণ অনুমতি নিয়ে কোন সিস্টেমে প্রবেশ করে ঐ সিস্টেমকে বা ঐ কোম্পানিকে সাহায্য করার জন্য।

আপনারা হয়তো জানেন যে, যতো বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যেমন গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক ইত্যাদি হাজার হাজার ডলার পুরস্কার প্রদান করে থাকে যদি তাদের সিস্টেমে কেউ কোন ভুল ধরিয়ে দিতে পারে তো। আপনি যদি তাদের বলেন যে, “আপনাদের সিস্টেমে অমুক কোডে সমস্যা রয়েছে।” আর তার বদলে তারা আপনাকে হাজারও ডলারে পুরস্কৃত করবে। আর তাছাড়া এই সকল কোম্পানি গুলোতে আগে থেকেই অনেক বড় হ্যাকারস টিম চাকরিও করছে।

ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস বা কালো টুপি হ্যাকার

বন্ধুরা ব্ল্যাক হ্যাট হাকারস সেই প্রকারের হ্যাকারস হয়ে থাকে যারা নিজের লাভের জন্য যেকোনো প্রকারের ক্ষতি করতে পারে। মনে করুন আমি কোন সার্ভার হ্যাক করে ফেলেছি বা কোন ডাটা লিক করে দিয়েছি এবং তার বদলে অর্থ দাবি করছি বা ব্ল্যাক মেইল করছি। তো এই অবস্থায় আমি হয়ে গেলাম একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার। কেনোনা আমি নিজের ইচ্ছায় কোন প্রকারের অনুমতি ছাড়ায় কোন সিস্টেমে প্রবেশ করে সেই সিস্টেম খারাপ করার চেষ্টা করেছি এবং বদলে আমার চাই টাকা বা অন্য কোন সুবিধা।

গ্রে হ্যাট হ্যাকারস বা ধূসর টুপি হ্যাকার

এই ক্যাটাগরির হ্যাকাররা কোন অর্থ উপার্জন বা কোন ব্ল্যাক মেইল করার জন্য কোন সিস্টেমে প্রবেশ করে না। তারা তাদের দক্ষতা ব্যবহার করে এমনি মজা করে কোন সিস্টেম হ্যাক করে। কিন্তু তারা কোন সিস্টেমে প্রবেশের জন্য অনুমতি গ্রহন করে না। এখানে যেহেতু এরা কোন ক্ষতিসাধন করতে বা অর্থ উপার্জন করতে হ্যাকিং করে না তাই এদের ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস তো বলা যায় না। আবার যেহেতু এরা অনুমতি না নিয়েই সিস্টেমে প্রবেশ করে তাই এদের হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারস ও বলা যায় না। তাই এদের বলা হয় গ্রে হ্যাট হ্যাকারস। মানে কালো আর সাদার মাঝামাঝি পর্যায়।

এছাড়াও কয়েক ধারণের হ্যাকার রয়েছে

ব্লু হ্যাট হ্যাকারস বা নীল টুপি হ্যাকার

এরা আসলে হ্যাকিংয়ের সাথে তেমন জড়িত নয়। কোন সফটওয়ার বা সিস্টেম শুরু করার পূর্বে এরা ঐ সফটওয়ার বা সিস্টেমের খারাপ বা ক্ষতিকারক দিকগুলো যাচাই বাছাই করে তা শোধরানের চেষ্টা করে।

ইথিক্যাল হ্যাকিং

বন্ধুরা আপনি চাইলে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হতে পারেন। কেনোনা আজকাল ইথিক্যাল হ্যাকারসদের অনেক চাহিদা। আপনি যদি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা করেন এবং আপনি যদি একজন আইটি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তবে ইথিক্যাল হ্যাকিং আপনার বেস্ট চয়েজ হতে পারে। আপনাকে কিছু কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে এবং আপনার বেসিক যদি অনেক ভালো থাকে তবে আপনি হয়ে যেতে পারেন ইথিক্যাল হ্যাকার। আপনি এই ক্ষেত্রে থেকে কোন বড় কোম্পানিকে সার্ভিস দিতে পারেন আবার আপনি ফ্রিলান্সার হিসেবেও কাজ করতে পারেন। এভাবে এই ক্ষেত্র থেকে আপনি মোটামুটি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এলিট হ্যাকার

কোনো সিস্টেমকে হ্যাক করার পাশাপাশি দক্ষতার সঙ্গে লুকায়িতও হতে পারে। নিত্যনতুন হ্যাকিং কৌশল আবিষ্কার করে থাকেন। একই সঙ্গে কোনো মেথডকে আরো নিখুঁত করার চেষ্টায় থাকে। এরা প্রোগ্রামিংয়ে বিশেষ দক্ষ হয়ে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং টুলস এবং এক্সপ্লয়েট এরাই মূলত তৈরি করে থাকেন।

স্ক্রিপ্ট কিডি

এরা প্রোগ্রামিংয়ে তেমন দক্ষ নয়। নিজেরা কোনো টুলস তৈরি করতে পারে না, অন্যের বানানো টুলস বা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে থাকে। কোনো সিস্টেম হ্যাক করার পর এরা সঠিকভাবে নিজেদের লুকিয়ে নিতেও পারে না।

নিওফাইট বা নোব

এরা হলো বিগিনার। হ্যাকিং এর নতুন শিক্ষার্থী। হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা কোনোটাই এদের নেই। এদেরকে নিউবি বা নুব বলা হয়।

ক্র্যাকার

ব্ল্যাক হ্যাটরাই মূলত ক্র্যাকার। এদের কাজ হলো বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম তৈরি করা এবং অনুমতি ছাড়া কোনো কপিরাইট প্রটেক্টেট সফটওয়্যারের কোড ভেঙ্গে ফেলা।

হ্যাকটিভিস্ট

এরা মূলত কোন রাজনৈতিক ব্যাপার, ধর্ম, সোসাল এ্যাটাক ইত্যাদির সাথে জড়িত। তবে অধিকাংশ হ্যাকটিভিস্টরা মূলত ডস এ্যাটাক বা ডি-ডস এ্যাটাকের সাথেই জড়িত।

আর যদি আসি হ্যাকিং বৈধ না অবৈধ এই ব্যাপারে তবে এক কথায় ব্ল্যাক হ্যাট হাকারস এবং গ্রে হ্যাট হ্যাকারস সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ করে। কিন্তু যেহেতু একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার সিস্টেম থেকে অনুমতি নিয়ে কোন সিস্টেমে প্রবেশ করে এবং সিস্টেমকে সাহায্য করে তাই ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পূর্ণ বৈধ।

সর্ব শেষ কথাঃ

আশা করি আজকের হ্যাকিং সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য! হ্যাকিং কি? হ্যাকার কত প্রকার? হ্যাকিং বৈধ নাকি অবৈধ? পোস্টে হ্যাকিং সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছেন। সকলকে বিষয় গুলো জানিয়ে দিতে পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করুন। ভালো থাকুন 😍

Post a Comment

Enter your comment
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.