আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের মাঝে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
একটি স্মার্টফোন সম্পুর্নভাবে তৈরি করা হয় বিশেষ কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপুর্ন যন্ত্রাংশ হলো প্রসেসর, ক্যামেরা, র্যাম, রোম, ব্যাটারী এবং স্ক্রিন । এইগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকলে আপনি নিশ্চয়ই স্মার্টফোন মার্কেট থেকে বেস্ট এবং সেরা স্মার্টফোন কিনে আনতে পারবেন । সে জন্য কারো সাহয্যের প্রয়োজন হবে না।
এছাড়াও আগের একটি পোস্টে তো আমি বলে দিয়েছি যে নতুন ফোন কেনার পূর্বে কিভাবে "Official এবং Unofficial ফোন চিনবেন এবং আপনার জন্য কোনটি নেওয়া উচিত" আমার সম্পূর্ণ মতামত ওই পোস্টে উল্লেখ করেছি।
আর এই পোস্টে আমি Labib UR Rahman আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে ভালো মানের স্মার্টফোন কেনার পূর্বে যেসব বিষয় লক্ষ রাখবেন। একটি ভালো স্মার্টফোন কেনার সময় যে সকল বিষয় খেয়াল করতে হয় তা নিচে আলোচনা করলাম।
দামও বাজেট
সবার আগে যে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে তা হলো ফোন কেনার জন্য আপনার বাজেট কত। আর সেই দামের মধ্যে কোন স্মার্টফোনটিতে সবচেয়ে বেশি ফিচার পাচ্ছেন সেটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট চয়েস। কারন আপনার বাজেট কম হলে হয়তো একটা স্মার্টফোনে লেটেস্ট সব টেকনোলজি কিংবা সব ফিচার পাবেননা, আর এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একটু বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করে আপনার বাজেটে কোন কোম্পানির কোন মডেলটি সবচেয়ে ভালো জিনিস বা ফিচার দিচ্ছে সেটা নেয়াই আমার মতে বুদ্ধিমানের কাজ।
অপারেটিং সিস্টেম
একটি স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এর মুল কারণ হচ্ছে আপনার ফোনের সফটওয়্যার সম্পর্কিত সকল অভিজ্ঞতা এই অপারেটিং সিস্টেমের উপরই নির্ভর করবে।
- Android OS : বর্তমানের স্মার্টফোন গুলোতে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহিত হচ্ছে এন্ড্রয়েড ওএস. গুগলের নিজের তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেমটি অনেক ফ্লেক্সিবল ও ফ্রি হওয়াতে বড় ছোট সব কোম্পানিই এই ওএস (OS) ব্যবহার করে। আধুনিক সব ফিচারই এই অপারেটিং সিস্টেমটি আছে। এর প্লে স্টোরও (Play Store) অনেক সমৃদ্ধ।
- iOS : অ্যাপলের আইওএস ও খুবই জনপ্রিয় এবং ফিচারবহুল। তবে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর দাম অনেক বেশি হওয়াতে সব মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পায়না। এর অ্যাপ স্টোরও (App Store) অনেক সমৃদ্ধ।
- Windows : মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ও এক সময় অনেক জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু এখন এই অপারেটিং সিস্টেমটি প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
- Selfish OS : সেইলফিশ ওএস থাকা ফোন এখন আর দেখা যায় না। এটি বিলুপ্ত।
- Firefox OS : এই অপারেটিং সিস্টেম টি ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ফায়ারফক্স ও এখন আর ব্যাবহিত হয় না।
তবে এখন কার দিনে Android OS ও iOS ব্যতীত অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন আমার মতে না কেনাই ভালো।
প্রসেসর
সিস্টেম অন চিপ বা প্রচলিত সহজ কথায় সিপিইউ (CPU)। এটি স্মার্টফোনের ব্রেইন। এর মাঝেই ইন্টিগ্রেটেড থাকে আপনার স্মার্টফোনের প্রসেসর, গ্রাফিক প্রসেসর, ক্যাশ ও বিভিন্ন ওয়্যারলেস মডিউল। এটাকে চিপসেট আবার অনেকে শুধু প্রসেসর বলেন। যেহেতু এটি স্মাার্টফোনের ব্রেইন তাই বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কতখানি। আপনার স্মার্টফোনের সব ডেটা প্রসেসরই প্রসেস করে দেয়। আর এটা তো জানেনি যে এখনকার স্মার্টফোনগুলো শুধু ব্রাউজিং কিংবা কল করার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না।
এখন একটা সাধারণ উদাহরণ দেখে নেই, ধরুন আপনি একটি অ্যাপ এ ঢুকার জন্য তার আইকনে ক্লিক করলেন। এখন সেই অ্যাপটি ওপেন হয়ার জন্য আপনার ফোনে একটু সময় নিলো। আবার সেই একই অ্যাপ আপনার বন্ধুর ফোনে দ্রুত ওপেন হলো। আর এইটাই হলো প্রসেসর এর কাজ। আর তাই স্মার্টফোনের ডেটা দ্রুত প্রসেস করার জন্য আপনার একটি শক্তিশালী প্রসেসর নেওয়া উচিৎ। প্রসেসরের ভালো মন্দ নির্ভর করে প্রসেসরের ক্লক স্পিড, এর কোর সংখ্যা ও সাথে আরো কয়েকটি বিষয়ের উপর। বিভিন্ন কোম্পানি স্মার্টফোনের জন্য চিপসেট তৈরি করে।
- Snapdragon : কোয়ালকমের কোম্পানির তৈরি স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ভালো বাজেটের ফোনগুলোতে বর্তমানে এই চিপসেটটি ব্যাবহিত হয়ে থাকে। পারফরমেন্স বিচারে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন সবথেকে এগিয়ে। এছাড়াও স্ন্যাপড্রাগন এর ব্যাটারি ব্যাকআপও তুলনামূলক ভালো।
- Helio : মোবাইলের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী বিচারে মিডিয়াটেকের হেলিও এগিয়ে থাকলেও জনপ্রিয় ও পারফরমেন্স বিচারে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন সিরিজের চিপসেটই এগিয়ে।
- Exynos : স্যামসাং কোম্পানির নিজেদের তৈরি করা এক্সিনস চিপসেট টি অধিকাংশ স্যামসাং ফোনে লক্ষ করা যায়। এবং এই চিপসেটটি ও বর্তমানে ভালো পারফরম্যান্স করছে।
- Kirin : অনান্য চিপসেট গুলোর মতো বর্তমানে বেশ ভালো প্রতিযোগিতা করছে হুয়াওয়ে ফোনে ব্যাবহিত কিরিন চিপসেটটি।
আর অ্যাপল তাদের ফোনে নিজেদের শক্তিশালী প্রসেসর ইউজ করে থাকে। আর তাই আপনি যদি আপনার মোবাইল গেমিং এর জন্য কিনতে চাচ্ছেন বা রেগুলার মাল্টিটাস্কিং করেন তাহলে ভালো একটি চিপসেট সম্বলিত মোবাইল অবশ্যই কিনবেন। সাথে লক্ষ রাখবেন কোন মডেলের জিপিইউ (GPU) রয়েছে সেটাও দেখে নিবেন।
নোটঃ ফোন, পিসি বা এরকম ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে মেমোরি দুই ধরনের। একটা হচ্ছে রম (ROM) ও আরেকটা হচ্ছে র্যাম (RAM)। র্যাম এর পূর্ণ রূপ হলো র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি। আর র্যাম এ ডাটা অস্থায়ী ভাবে থাকে। র্যামকে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয়। অপর্দিকে রম এর পূর্ণ রূপ হলো রিড অনলি মেমোরি। আর রম এর ডাটা স্থায়ী ভাবে থাকে। রমকে নন-ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয়।
র্যাম
র্যাম হল অস্থায়ী মেমোরি যাতে প্রসেসর ডেটাগুলোকে অস্থায়ীভাবে জমা রাখে। তাই র্যামের পরিমাণ সাধারণত রম বা স্টোরেজের চেয়ে অনেক কম হয়। র্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত স্মুদলি চলার সম্ভাবনা বেশি হবে। পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেক অ্যাপ চালু রাখতে পারবেন।
এখন কার লো বাজেটের স্মার্টফোনেও ১ জিবি (1GB) র্যাম দেওয়া থাকে। তবে আমার মতে ১ জিবি র্যামের স্মার্টফোন না কেনাটাই ভালো। মিডরেঞ্জের ফোনগুলোতে ২জিবি (2GB) থেকে ৪ জিবি (4GB) র্যাম দেওয়া হয়। এছাড়াও কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোনে ৬ জিবি (6GB) থেকে ৮ জিবি (8GB) পর্যন্ত র্যাম থাকে।
আর একটা কথা, বেশি দাম দিয়ে বেশি র্যামওয়ালা ফোন কেনার আগে, আপনার আসলেই এতো পরিমাণ র্যাম লাগবে কি না কিংবা আপনার প্রসেসর এই র্যাম এর যথার্থ ব্যবহার করতে পারবে কি না সেটাও বিবেচনা করবেন। বর্তমানে মধ্যম দামের এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন কিনলে ২জিবি (2GB) র্যামের নিচে না কেনাই ভাল। যদি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনেন, তাহলে র্যামের ব্যাপারে এত না ভাবলেও চলবে।
রম বা স্টোরেজ
স্টোরেজ বা রমের কথা বিবেচনা করলে ভাবতে হবে, এখানে আপনার অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপস থাকবে এবং এর বাকি অংশ আপনার ইন্টারনাল স্টোরেজ (প্রচলিত ভাষায় ফোন মেমোরি) হিসেবে ব্যবহৃত হবে যাতে আপনি ফাইল, অ্যাপ, ছবি বা আপনার প্রয়োজনীয় যেকোনো ডুকুমেন্ট সহ ইত্যাদি রাখতে পারবেন। এটা আপনার প্রয়োজনমত নিতে পারেন।
নোটঃ ফোন মেমোরি বা ইন্টারনাল স্টোরেজের Android ফোল্ডার কখনো ডিলিট করবেন না। কারন এখানে আপনার ফোনের অনেক ডাটা সংরক্ষিত থাকে।
আর এক্ষেত্রে আমার মতামত হবে, যেমন ২জিবি (2GB) র্যামের নিচে স্মার্ট ফোন না নেওয়া তেমনি ১৬ জিবি (16GB) এর কম স্টোরেজের ফোন না নেয়াই ভাল। আর তাই ফোনে মাইক্রোএসডি বা মেমরি কার্ড স্লট আছে সেসব ফোন কেনাই আপনার জন্য ভালো। কারণে এক্ষেত্রে আপনাকে স্টোরেজ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
ব্যাটারি
একটি স্মার্টফোনে চার্জ অনেকটা সময় ধরে রাখার জন্য ব্যাটারী গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে। আর এখনকার স্মার্টফোনের ক্যাপাবিলিটি যেমন বেড়েছে সেই তুলনায় এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম খুব বেশি বাড়েনি। তাই আপনার উচিত বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন mAh ব্যাটারি থাকা স্মার্টফোন কেনা।
আর স্মার্টফোন কেনার আগে দেখবেন স্মার্টফোনটিতে কোন ধরনের ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে।
- Li Po : Lithium Polymar (লিথিয়াম পলিমার) ব্যাটারীকে সংক্ষেপে বলা হয় Li Po (লি পো)।
- Li Ion : Lithium Ion (লিথিয়াম আয়ন) কে বলা হয় Li Ion (লি আয়ন)। লিথিয়াম আয়ন বা Li Ion ব্যাটারী Li Po ব্যাটারীর থেকে বেশি ভালো।
আর এখন আসা যাক যে, কত মিলিএম্পিয়ার/আওয়ার বা mAh ব্যাটারীর স্মার্টফোন নিবেন! আমার মতে আজকাল ৩০০০ মিলিএম্পিয়ার/আওয়ার (mAh) এর কম মানের ব্যাটারির ফোন না নেয়াই উচিত। আর এর পাশাপাশি দ্রুত ফোন চার্জ হওয়ার জন্য আপনার ফোনটি কুইক চার্জ সাপোর্ট করে কি না সেটিও দেখা উচিত।
ও আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো, যে আপনি যেই স্মার্টফোন টি নিতে চাচ্ছেন তার প্রসেসর কত ন্যানোমিটারের। কারন প্রসেসর যত কম ন্যানোমিটার হবে স্মার্টফোনে চার্জ ততো বেশি যাবে। প্রসেসর কত ন্যানোমিটার তা স্মার্টফোনের বক্সের গায়ে লেখা থাকবে বা আপনি চাইলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন।
ক্যামেরা
যদি আপনি স্মার্টফোনে একটি ভালো ক্যামেরা আশা করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে যেসব দিকে লক্ষা রাখতে হবে,
- Megapixel : স্মার্টফোনের ক্যামেরার রেজ্যুলেশন যত বেশি বা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে স্মার্টফোনে তোলা ছবি তত বড় ডিসপ্লেতে দেখতে সুবিধা হবে।
- Aperture : আপনি হয়তো দেখে থাকবেন যে f/1.8, f/2.0, f/2.2 ইত্যাদি নাম্বার দিয়ে ক্যামেরার অ্যাপারচার প্রকাশ করা থাকে। কিন্তু এগুলো আসলে কি হয়? দেখুন এই নাম্বারে যে ছোট হাতের এফ দেখতে পাওয়া যায় তা হলো আপনার ক্যামেরার লেন্সের ফোকাল লেন্থ। এবং যে নাম্বারটি নিচে থাকে তা হলো আপনার ক্যামেরার যে ওপেনিং থাকে মানে ক্যামেরাতে যে হোল থাকে যার মাধ্যমে আলো ক্যামেরাতে প্রবেশ করে তার ডায়ামিটার। আর ক্যামেরার অ্যাপেসারের পয়েন্ট যত কম হবে ততো বেশি ক্যামেরা ভালো হবে। যদি একটি স্মার্টফোনে f/2.2 অ্যাপেসার থাকে আর অন্য একটি স্মার্টফোনে যদি f/1.8 অ্যাপেসার থাকে তাহলে f/2.2 অ্যাপেসার দিয়ে যে ছবি উঠবে তার থেকে ভালো ছটি উঠবে f/1.8 অ্যাপেসার দিয়ে। মানে অ্যাপেসার যত কম থাকবে ততো ক্যামেরার ছবির মান ভালো হবে।
- Resolution : ভালো মানের ক্যামেরার ক্ষেত্রে পিক্সেল সাইজ এর গুরুত্ব অনেক। ভিডিওর ক্ষেত্রে আপনার মেইন ক্যামেরা যেন অন্তত ৩০ ফ্রেমস/সেকেন্ড রেটে ১০৮০পি (1080p) রেজুলেশনে ভিডিও করতে পারে সেটা খেয়াল রাখবেন। আর 4K রেজুলেশনের ভিডিও করতে পারলেতো সেটা খুবই ভালো।
- Sensor : ক্যামেরার গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট হচ্ছে ক্যামেরার সেন্সর। দেখবেন ক্যামেরাতে কোন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে? সেন্সরের মধ্যে রয়েছে সনির সেন্সর ও স্যামসাং এর সেন্সর ইত্যাদি। সনির মধ্যে রয়েছে Sony IMX 586, Sony IMX 582, Sony IMX 686 স্যামসাং এর রয়েছে Samsung GW সেন্সর ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সেন্সর।
এছাড়াও অনেক স্মার্টফোনে ভিডিও না কাঁপেনাের জন্য ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ফিচার দেওয়া হয়। এই ফিচারটি ও আছে কিনা দেখে নিতে পারেন।
ডিসপ্লে
স্মার্টফোনগুলোতে সব আকর্ষন মূলত এর স্ক্রিন দিয়েই হয়। তাই ভালো মানের স্মার্টফোন কেনার পূর্বে এটির সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- Screen : যদি আপনার স্মার্টফোনে ভালো স্ক্রিন বা ডিসপ্লে আশা করে থাকেন তাহলে আপনার ফোনের প্যানেলটি কি এলসিডি, ওলেড নাকি এমোলেড সেটিও দেখতে পারেন। আর আমার মতে IPS/LCD ডিসপ্লে বাদ দিয়ে আপনি AMOLED বা SUPER AMOLED ডিসপ্লে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও এলসিডি স্ক্রিনের ফোনের দাম এমোলেড কিংবা ওলেড স্ক্রিনের চেয়ে তুলনামূলক কম।
- Size : স্মার্টফোনের স্ক্রিন আজকাল পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় ইঞ্চি এর মধ্যে হলেই হলো। তবে এক হাত দিয়ে ব্যাবহার করতে চাইলে চাইলে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চির উপরে না যাওয়াই ভালো।
- Resolution : মোবাইলের ভালো এবং আকর্ষনীয় ডিসপ্লে কোয়ালিটির জন্য স্কিন রেজুলেশনের দিকে নজর দিতে হবে। আর আপনি তখনি হাই কোয়ালিটি ডিসপ্লের মজা নিতে পারেন যখন আপনার পছন্দ করা ফোনের স্কিন রেজুলেশন ৭২০×১৫২০ pixels বা এর চয়ে বেশি হয়। এছাড়াও বেশি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেতে কন্টেন্ট বেশি স্পষ্ট ও ঝকঝকে দেখায়। তাই কমপক্ষে HD রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে নেয়া ভালো। আজকাল ভাল মানের ফোনগুলোতে Full HD থেকে শুরু করে 4K রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেও পাওয়া যায়।
- Pixels Density : এরপর লক্ষ রাখবেন যে ফোনের pixels density কতো? যদি দেখেন ২৭০ PPI বা এর চেয়েও বেশি হয় তবে বুঝবেন ফোনটির ডিসপ্লে ডেনসিটি ভালো।
- Aspect Ratio : আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লের এস্পেক্ট রেশিও 18:9 কিংবা 18.5:9 হয় যা আগের 16:9 এস্পেক্ট রেশিওর ফোনের চেয়ে বেশি চিকন। ফলে হাতে ধরতেও সহজ আবার দেখতেও সুন্দর লাগে।
শেষ কথা
তাহলে বন্ধুরা, ভালো মানের স্মার্টফোন কেনার পূর্বে যেসব বিষয় লক্ষ রাখবেন, সেগুলির বিষিয়ে আমি আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিলাম৷ তাছাড়া, আপনার কি কি ফিচার (Features) বা ফাঙ্কশন (Functions) দেখে মােবাইল কিনতে হবে সেটাও আমি বিস্তারিত ভাবে বললাম৷ সহজ ভাবে বলতে গেলে, একটি মােবাইলে কমেও কি কি ফিচারস বা ফাঙ্কশন থাকতে হয় সেটাই আমি আপনাদের বললাম। আমি, ওপরে বলা পয়েন্ট গুলো লক্ষ রেখে যদি আপনারা স্মার্টফোন কিনেন, তাহলে অবশই একটি ডালাে, সুন্দর এবং সব ধরণের ফিচারস সহ মােবাইল পেয়ে যাবেন৷